অনলাইন গোপনীয়তা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে মারাত্মক বিতর্কিত বিষয় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ক্রমবর্ধমান আইন অনুমোদিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ওয়েবে এবং এখন থেকে নেটিজেনদের ক্রিয়াকলাপ তথাকথিত নজরদারি এজেন্সিগুলি দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অবিচ্ছিন্নভাবে গুপ্তচরবৃত্তি এবং গুপ্তচরবৃত্তির এই পদ্ধতির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় 50% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের অনলাইন শপিংয়ের অভ্যাস বদলাতে পেরেছেন যে কারণে তারা এখন ইন্টারনেটে তাদের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে গুরুতরভাবে উদ্বিগ্ন।
জাতীয় টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রশাসন (এনটিআইএ) দ্বারা 41, 000 পরিবারের প্রতিক্রিয়া সম্বলিত একটি বিস্তৃত সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষাটি গত 12 মাসে তাদের অনলাইন কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করেছে। সম্প্রতি পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফলগুলি এই সত্যটি তুলে ধরেছে যে দু'জন আমেরিকান নাগরিকের প্রত্যেকেরই, যাদের ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এবং নিয়মিত অনলাইন ক্রেতারা এখন ওয়েবে তাদের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
জরিপের একটি প্রধান আবিষ্কার ছিল যে প্রায় 45% মার্কিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের ভয়ে অনলাইনে একটি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও, 30% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ওয়েবে দুটি বা ততোধিক কার্যক্রমে ব্যস্ত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কেবলমাত্র তারা ব্যক্তিগত ডেটা লঙ্ঘনের বিষয়ে ভীত হওয়ার কারণে।
ব্যক্তিগত ভিত্তিতে তাদের অনলাইন কার্যক্রম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, 29% উত্তরদাতারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার উদ্বেগের কারণে অনলাইনে কোনও আর্থিক লেনদেন করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। উত্তরদাতাদের আরও 26% বলেছেন যে তারা অনলাইনে উপলব্ধ পণ্য বা পরিষেবা কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।
উত্তরোত্তরের 25% এরও বেশি গোপনীয়তার উদ্বেগের কারণে সামাজিক মিডিয়া ওয়েবসাইটে তাদের আপডেট পোস্ট করা বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু প্রতিক্রিয়াশীল (19% নির্ভুল হতে) বলেছিলেন যে তারা একই কারণে অনলাইন ল্যান্ডস্কেপকে সুস্পষ্ট বিতর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করা বন্ধ করেছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ উত্তরদাতারা, (be৩% সুনির্দিষ্ট হতে হবে) এমন দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছিলেন যে তারা সত্যই পরিচয় চুরি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। উত্তরদাতাদের মধ্যে 45% ছিলেন যারা রিপোর্ট করেছেন যে তারা তাদের ক্রেডিট কার্ডের অপব্যবহার এবং ইন্টারনেটে ব্যাংকিং জালিয়াতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। উত্তরদাতাদের 20% এরও বেশি, (22% সুনির্দিষ্ট হতে হবে) বলেছে যে তারা এজেন্সিগুলির দ্বারা ব্যবহৃত ডেটা সংগ্রহের কৌশল সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিল এবং তারা তাদের তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।
কিছু লোক ছিল (নির্ভুল হতে 13%) যারা তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য হুমকির বিষয়ে সত্যই উদ্বিগ্ন ছিলেন। এখন, এটি সত্যিই উল্লেখযোগ্য শতাংশ। এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয়ভাবে, 19% উত্তরদাতারা জানিয়েছেন যে তারা ব্যক্তিগতভাবে গত বছরের মধ্যে অনলাইন সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছিল experienced উত্তরদাতাদের 30% এরও বেশি (সঠিকভাবে 31%) বলেছেন যে তারা কমপক্ষে পাঁচটি পৃথক ডিভাইস ব্যবহার করে এবং সমস্ত ডিভাইসই গোপনীয়তার আক্রমণে ঝুঁকির শিকার হয়েছিল।
তাদের অনলাইন গোপনীয়তা সম্পর্কে মার্কিন নেটিজেনদের মধ্যে অবিশ্বাসের কথা তুলে ধরে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে এটি "শীতল প্রভাব ফেলছে।" অন্যদিকে এনটিআইএর নীতি বিশ্লেষক, রাফি গোল্ডবার্গ তার ব্লগ পোস্টে লিখেছেন:
“ইন্টারনেটের বিকাশ ও বিকাশের জন্য ব্যবহারকারীদের অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত এবং তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত করা উচিত তা বিশ্বাস রাখতে হবে।” “প্রাথমিক বিশ্লেষণ কেবল এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের পৃষ্ঠকেই স্ক্র্যাচ করে, তবে এটি স্পষ্ট যে নীতিনির্ধারকদের আরও উন্নত করা দরকার ইন্টারনেটের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষায় অবিশ্বাসের বোঝা এবং ফলস্বরূপ শীতল প্রভাবগুলি, "তিনি আরও যোগ করেছেন।
এটি একটি নীরব বার্তা যে আমেরিকান ব্যবহারকারীরা তথাকথিত নজরদারি এজেন্সিগুলির দ্বারা চালিত প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট নয়। পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে, আমেরিকানরা তাদের অনলাইন গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। টিপিং পয়েন্টটি কাছে চলে আসছে।
এনটিআইএ সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে এবং ইতিমধ্যে কার্যকরভাবে অনলাইন এনক্রিপশন এবং সুরক্ষা নীতিমালা উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
